ড্রিম মডুলার

অসম্ভব সুন্দর একটা ঘুম ভেঙ্গে উঠলাম। দারুন কোন সপ্ন দেখছিলাম হয়তো। কিন্তু স্বপ্নে কি দেখছিলাম ছিটেফোটাও মনে পড়ছেনা এই মুহুর্তে। কিন্তু তা নিয়ে কোন আফসোস হচ্ছে না মোটেই। আগামি রাতেও নিশ্চই দারুন কোন স্বপ্ন দেখবো, তাই মনে না পড়া স্বপ্ন নিয়ে বিন্দু মাত্র আফসোস হচ্ছে না।

পাঁচ দশক এর কিছু পূর্বে সপ্ন দেখার কিংবা নিয়ন্ত্রণের এক যুগান্তকারী মেশিন মানুষ আবিস্কার করেছে। শুরুতে অনেকেই এর ব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিল, যুক্তি-তর্কে একে মানব সভ্যতার দারুণ ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলো। কিন্তু সকল প্রশ্ন আর যুক্তি-তর্ককে পেছনে ফেলে মানুষ একে গ্রহন করেছে। আর শুধু গ্রহন করেছে বললে ভুল হবে, কারণ দিনে দিনে তারা এটিকে তাদের জীবনের সাথে ওতপ্রেত ভাবে জড়িয়ে নিয়েছে। Continue reading “ড্রিম মডুলার”

ওমিক্রনের কথাঃ হস্তাক্ষর (শর্ট ফিকশন)

 

বেশ অনেক সময় ধরে চেষ্টা করছি মানুষের মত লিখার জন্যে, কিন্তু হচ্ছে না। মানুষের এই ব্যাপারটি একদম অন্যরকম, ঠিক যেমন তাদের স্বভাবের মত। এক একজন মানুষের স্বভাব যেমন এক এক রকম হতো, ঠিক তাদের হাতের লেখা গুলিও এক এক রকমের। যদিও অনেকের সাথে অনেকের স্বভাব আর হাতের লেখার মিল পাওয়া যেতো, তবুও সূক্ষ্ম একটা পার্থক্য কোথাও না কোথাও ঠিকই থেকে যেতো। যদিও কখনো ক্রিয়েটিভ হিসেবে ব্যাপারটাকে গ্রহণ করা হয়নি, তবুও আমার যুক্তি অনুযায়ী এটা তাদের ক্রিয়েটিভিটির একটা অংশ হিসেবেই ছিল।

এই যেমন আমি চেষ্টা করছি আমার নিজের, একদম আমার নিজের মত করে লিখার জন্যে। কিন্তু এতটা সময় নষ্ট করার পরও Continue reading “ওমিক্রনের কথাঃ হস্তাক্ষর (শর্ট ফিকশন)”

কল্প-গল্পঃ কানেকশন

 

আমি জানি এটা সম্ভব নয়, কিন্তু ব্যাপারটা ঘটছে। আমি এখানে বসেই তার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারছি। যা আদৌ সম্ভব নয়, ঠিক সেটা যখন আপনার সাথেই ঘটতে থাকে, তখন ঠিক কেমন অনুভব হয় তা এমন একটা পরিস্থিতিতে না পড়লে কেউ বুঝতে পারবে না। আর এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও সেই অনুভূতির ধারণা দেওয়াও আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

আমি ঠিক বুঝতে পারছি ঠিক আমার পাশের রুমেই ব্যক্তিটি বসে আছে। নাহ্‌, ভুল বললাম। ব্যক্তিটি নয়, বরং বলা উচিৎ পাশের রুমেই আমি বসে আছি। কি? অদ্ভুত লাগছে? পাশের রুমে কিভাবে আমি বসে থাকতে পারি এই ভেবে আমার কথা আপনার কাছে অদ্ভুত ঠেকলে আরও অদ্ভুত কিছু শোনার জন্যে প্রস্তুতি নিন আপনি। শুধু যে পাশের রুমে আমি বসেই আছি তা নয়, বরং একই সাথে সে এখন কি Continue reading “কল্প-গল্পঃ কানেকশন”

কল্পগল্পঃ ওয়েভ লেন্থ

 

অবর্জাভেটরি প্যানেলে বসে থাকার মত বিরক্তিকর চাকরি দ্বিতীয় আরেকটা নেই। হাজার বছরেও কোন পরিবর্তন হবে কি না তার কোন নিশ্চয়তা নেই, অথচ তোমাকে বসে বসে মনিটরিং করে যেতে হবে। হুট করেই যদি কোন সেন্সর চিৎকার করে উঠে তখনও বিচলিত হওয়ার মত কোন কারণ থাকে না। হঠাৎ এমন করে সেন্সর গুলি। মাঝে মাঝে মনে হয় সেন্সর গুলিও বিরক্ত হয়ে গেছে এভাবে বসে বসে সময় নষ্ট করে। তাই হঠাৎ হুট হাট করে চিৎকার করে নিজেদের করুন অবস্থার জানান দেয়। আবার অন্যদিকে এর থেকে শান্তি দায়ক চাকরিও নেই বাজারে। পরিশ্রম বলতে কিছুই নেই, অথচ মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও যা উপার্জন করা যায় না এখানে তার চেয়ে পরিমাণে অনেক বেশিই বেতন পাওয়া যায়।

স্যাম এখনো দ্বিধাগ্রস্ত এই ব্যাপারটা নিয়ে। যদিও এখানে আসার কারণ নিয়ে তার কোন দ্বিধা নেই। সে নক্ষত্রকে ভালবাসে, আর ভালোবাসে বলেই এমন একটা Continue reading “কল্পগল্পঃ ওয়েভ লেন্থ”

কল্প গল্পঃ হোম অফ আলট্রন এণ্ড আওয়ার্স

 

পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে আলট্রনসেপিয়েন্সের ধারণার প্রকাশ ঘটে। তবে বাকি সব ধারণার মত একে ঝুলে থাকতে হয়নি, হয়নি মুখ থুবড়ে শুধুই বিজ্ঞানের তত্ব হিসেবে পড়ে থাকতে। বিজ্ঞান কাউন্সিল একে পরিপূর্ণ সমর্থন দান করে। ফলস্বরূপ পরবর্তী ৩০ বছরের মাথাতেই প্রথম আলট্রনসেপিয়েন্সের জন্ম হয়। এদের প্রাথমিক ভাবে ল্যাবেই বড় করা হলেও তাদের বিকাশ প্রাকৃতিক উপায়েই ঘটে। বিজ্ঞান আর প্রকৃতির সমন্বয়ে খুব অল্প সময়েই এরা বড় একটা গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। প্রথম দিকে প্রতিকূলতা থাকলেও শেষে একে অনেকেই আলট্রনসেপিয়েন্স জন্ম দেবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে থাকে। এর ৭০ বছরের মাথাতেই আলট্রনসেপিয়েন্সের জন্যে আলাদা করে মহাদেশ নির্দিষ্ট করে দিতে হয়। আর বিজ্ঞান কাউন্সিল তা খুব সানন্দেই করে।

পঞ্চদশ শতাব্দীর ৫০০ বছর পার হবার পর যখন বিশ্বের তিন মোড়লের নাকের ডগা থেকে ছ’ছয়টি নিউক্লিয়ার বেস নিয়ন্ত্রণ হারায় তখনই বিশ্ববাসী বুঝে যায় যে তাদের Continue reading “কল্প গল্পঃ হোম অফ আলট্রন এণ্ড আওয়ার্স”

সমান্তরাল ভবিষ্যৎ

 

সাহীন খুব মনোযোগ দিয়ে তার অদ্ভুত চশমাটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। চশমার হাতের সাথে থাকা সূক্ষ্ণ সংযোগ দেয়া তার গুলি বার বার চেক করছে যেন ভুল করেও কোন ভুল না থাকে। তারপর সেটা হাত থেকে রেখে নিজের তৈরি ছোট্ট সার্কিটটা চেক করতে বসলো। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখে যখন সবই ঠিক আছে Continue reading “সমান্তরাল ভবিষ্যৎ”

কল্প গল্পঃ ইন্ডিপেন্ডেন্স ইরর


ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছিল জাহিদ। এবারে প্রায় আট মাস পর বাড়ি যাচ্ছে। গত সেমিস্টার শেষে যাওয়া হয়নি টিউশনি থেকে ছুটি না পাওয়ার কারণে। এবারে নিজের পরীক্ষা আর ছাত্রদের পরীক্ষা একই সময় শেষ হবার কারণে সুযোগ মিলল। তাই আর পরীক্ষা দিয়ে দেরি করেনি, সোজা হলে গিয়ে কোনরকম গোছগাছ করেই ছুটে এসেছে স্টেশনে। গতরাতেও ঘুম হয়নি ঠিক মত, উত্তেজনায় এত সময় সেটা টের না পেলেও এখন সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে। ঘুম আর ক্লান্তি একসাথে আক্রমণ করছে, চোখ মেলে রাখাই দায়। কোলের উপর তল্পি-তল্পার Continue reading “কল্প গল্পঃ ইন্ডিপেন্ডেন্স ইরর”